Rising of Mr MuFi

তখন আমি ইন্টার সেকেন্ড ইয়ারে পড়ি। আমাদের কলেজে(New Govt. Degree college) টেস্ট পরীক্ষার চলতেছিল এবং প্রথম দুইটা পরীক্ষা হয়ে গেছে। দুইদিন পরে আইসিটি পরীক্ষা ছিল। Already জীবনে অনেকগুলো সমস্যা চলতে ছিল, তবুও যুদ্ধ করে পড়াশোনা চালিয়ে যাচ্ছিলাম, যদিও তখনো জানতাম পড়াশোনাটা হয়তো আমার জন্য খুব একটা beneficial না। তবুও, এতদিন পর্যন্ত আমার ভবিষ্যৎ টা এই ভাবেই সাজানো ছিল, পড়াশোনা করে ভালো কিছু করে তারপরে কিছু একটা করা। যদিও আমার এইসব idea আগে থেকেই ছিল কিন্তু সেটা পড়াশোনার পরে। কিন্তু হঠাৎ করে কি যে হল আমি আর পড়াশোনা করতে পারছি না কোনভাবেই মনকে বুঝিয়েও উঠতে পারছিনা। প্রতিবার এমনটি হলেও আমি বারবার ঘুরে দাঁড়ায় আবার পড়াশোনা শুরু করি কিন্তু এইবার কেমন যেন একটু ব্যতিক্রম ছিল। ঘুরে দাঁড়ানো অনেকটাই কষ্টকর হচ্ছ। আমার roommate দের সাথে আলোচনা করতে ছিলাম তারা বলল তোর বাসায় জানানো উচিত। আমি ফোন দিয়ে বাসায় জানালাম, কথা বলতে বলতে এক পর্যায়ে কেঁদে ফেললাম। জানানোর পরে আমার আম্মু বলল আমি কালকে রাজশাহীতে আসছি আমি বললাম, “না আসার দরকার নেই। আমি হয়তো একাই ঠিক হয়ে যেতে পারব। শুধু মনে হল তোমাদের জানানো দরকার তাই।” তাই বলে ফোন রেখে দিলাম। ওই রাতটা পার হয়ে গেল পরেরদিন পুরো দিন যাওয়ার পরে রাতে আমি কোনমতে নিজেকে বুঝিয়ে আবার উঠে দাঁড়িয়ে পড়া শুরু করলাম। কিন্তু এমন অবস্থায় আম্মু এসে হাজির তখন আমি কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিনা আচ্ছা আসলো, ভালো। থাকতে থাকতে হঠাৎ এমন পর্যায়ে কথাবার্তা চলতে চলতে, এমন পর্যায়েই চলে গেল যে আমি আর নিজেকে সামলাতে পারলাম না সবকিছু খুলে বললাম। সে বলল, “তোর আর এখানে থাকার দরকার নেই বাসায় চল ওখানে গিয়ে পড়াশোনা করবি।” না আমি পারবো আমি আবার এখানে থেকে আস্তে আস্তে শুরু করলে আমি পারবো পরীক্ষাটা দিই পড়াশোনা করি। কিন্তু সে কোন মতেই রাজি না এর ভেতরে অবশ্য আরো অনেক রকম কথা আছে যেগুলো আমি এভাবে বলতে চায় না ভবিষ্যতে যদি কোন সময় এমন সময় আসে তখন হয়তো বা বলব। তো পরিস্থিতি ধীরে ধীরে ঘোলাটে হয়ে গেল। এরপর, অনেক ঘটনা। তারপর আম্মুকে কোনমতে বাসায় পাঠিয়ে দিলাম আবার পড়ার জন্য কিন্তু কেন যেন আমি পরতেই পারলাম না এইভাবে দুইটা দিন কেটে গেল। কালকে সকালে আমার পরীক্ষা কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না ভাবলাম সকালে উঠে পড়বো কিন্তু সকালে ঘুম ভাংলো পরীক্ষা শুরু হওয়ার আধ ঘণ্টা আগে। তখন আর আমার কাছে কিছুই করার নেই। আমার জায়গায় অন্য কেউ হলে হয়তো সে এই অবস্থাতেও পরীক্ষা দিতে যেত, কিন্তু আমি পরীক্ষা দিতে গেলাম না। সেদিন বিকেলেই ট্রেন ধরে আমি বাসায় চলে আসলাম কাউকে কিছু না জানিয়ে। তারপরে ভাবলাম একবার যখন এই দিকে পা দিয়েছি, আমাকে কিছু একটা করতেই হবে এই ভেবে আমি মাথায় কাপড় বেঁধে যাত্রা শুরু করলাম। বাকি পরিক্ষা গুলোও দিলাম না। যদিও আমার এই সিদ্ধান্তে কেউই খুশি নয়। কিন্তু আমি তো আর কাউকে বুঝাতে পারছি না যে আমার সাথে কি কি হয়েছে আর কি কি হয়।এগুলো কেমন যেন স্বাভাবিক না। এগুলো কাউকে বললে তারা বিশ্বাসও করবে না তাই আমি এখন বলতেও চাইনা ভবিষ্যতে কোনো সময় সময় আসলে বলব।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *